বাংলাদেশে উদ্ভাবিত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পদ্ধতি। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগ এবং কার্ডিওকেয়ার জেনারেল ও স্পেশালাইজড হাসপাতালের একদল গবেষক এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।
শনিবার (২১ মার্চ) সময় সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড্যাফোডিল গ্রুপের সিইও মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
তিনি জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যতম প্রযুক্তি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এ আই), যা বিভিন্ন সেক্টরে বিশেষ করে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত হয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তিগত এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। মেশিনকে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বুদ্ধিমান করে তোলার ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জুড়ি নেই। বিশ্বের ফরচুন ৫০০ কোম্পানিসহ উন্নত দেশের সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান এ খাতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশেও এ প্রযুক্তির গবেষণা ও ব্যবহার ছোট পরিসরে শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কার্ডিও কেয়ার হসপিটালের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে করোনা ভাইরাস শনাক্তে আর্টিফিশিয়াল প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি সল্যুশন আবিষ্কার করেছে।
গবেষকরা জানান, ফুসফুসের বিভিন্ন জটিল রোগ নির্ণয়ে রেডিওলোজি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোভিড-১৯ নির্ণয়েও রেডিওলোজি তথা ‘চেস্ট রেডিওলোজি’ মডেল এবং কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এমন একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছেন যে সফটওয়্যারটি রোগীর বুকের এক্সরে এবং ফুসফুসের সিটি স্ক্যানের ছবি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ‘কোভিড-১৯’ শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।
গবেষণায় জানা যায়, এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ৯৬ ভাগ সঠিকভাবে ‘কোভিড-১৯’ রোগ নির্ণয় করা যাবে।
জানা যায়, এই গবেষকরা সফটওয়্যার তৈরির পাশাপাশি একটি ওয়েবসাইটও নির্মাণ করছেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটে রোগীর এক্সরে-র ছবি আপলোড করার মাধ্যমে কোভিড-১৯ সহ যেকোন ফুসফুসজনিত রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
গবেষণা দলটিতে রয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যালাইড হেলথ সায়েন্স অনুষদের সহযোগী ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসের জাফর উল্লাহ, পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রধান ড. এবিএম আলাউদ্দিন চৌধুরী, মো. লিয়াকত আলী, মো. হাবিবুর রহমান, মো. নাসের ও মো. মেহেদী হাসান।
One Response
Hi, this is a comment.
To get started with moderating, editing, and deleting comments, please visit the Comments screen in the dashboard.
Commenter avatars come from Gravatar.
Comments are closed.